হলুদের 15টি চমৎকার উপকারিতা ও কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম

হলুদ আমাদের কাছে একটা পরিচিত মসলা। হলুদ ছারা প্রতিদিনের রান্না অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে যে হলুদ শুধু রান্নার কাজে লাগে তেমন নয়। হলুদের বিশেষ করে কাচা হলুদের আরু কিছু বিশেষ উপকারিতা আছে।
কাঁচা হলুদের উপকার আমরা সবাই জানি, কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার না জানার কারণে এর উপকার পাইনা। আজকে আমরা জানবো কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম। বা বলতে পারেন কাচা হলুদ এর বিভিন্ন উপকারিতা।
লিভারের উপকারিতা : কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
লিভার ভালো রাখতে প্রতিদিন 10-15 ফোঁটা কাঁচা হলুদের সাথে একটু মধু,আর পরিমাণ মত লবণ মিশিয়ে খাইতে পারলে লিভারে কোন রকম সমস্যা হবে না। লিভার সুস্থ রাখার জন্য কাচা হলুদ বিশেষ উপকারি।
এলার্জি দূর করতে : কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
কাঁচা হলুদ শুকিয়ে নিয়ে গুড়া করে, সেটা পরিমান মত দুইটা অংশ করে, তার সাথে আমলকীর শুকিয়ে নিয়ে তিন অংশ আমলকী গুঁড়া নিয়ে, এক অংশ শুকনো নিমপাতার গুঁড়া নিয়ে সরবত করে প্রতিদিন খেলে স্ক্রীন রেস বা এলার্জি দূর হবে।
পেটের সংক্রামক রোগ দূর করতে :
মাখন বা দুধের সাথে কাঁচা হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারলে পেটের সমস্ত সংক্রামক রোগ দূর হবে
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার উপায়-
বাচ্চাদের ক্রিমি দূর করতে :
ক্রিমি নাশক হিসেবে কাচা হলুদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বাচ্চাদের পেটের ক্রিমি দূর করতে প্রতিদিন সকালে 15-20 ফোঁটা কাঁচা হলুদের সাথে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে খেতে পারলে বাচ্চাদের পেটের ক্রিমি দূর হয়ে যাবে।
জন্ডিস দূর করতে : কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
সামান্য পরিমান কাঁচা হলুদ এবং এর দ্বিগুন পরিমাণ দুধ বা টক দই মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারলে খুব সহজেই জন্ডিস ভালো হয়ে যাবে।
হাঁপানির সমস্যা দূর করতে :
হাঁপানি দুর করতে এক চা চামচ কাঁচা হলুদ গুড়া এক গ্লাস দুধ এর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে খেতে পারলে হাঁপানি খুব দ্রুত কমে যাবে।
সর্দি দূর করতে : কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেকের সর্দি হয়,এই সর্দি দূর করতে কাঁচা হলুদ বিশেষ উপকারী।
দুধের মধ্যে কাঁচা হলুদ সেদ্ধ করে বেটে নিয়ে চিনি মিশিয়ে খাইতে পারলে খুব দ্রুত সর্দি ভালো হয়ে যায়।
গলা ব্যাথা দূর করতে :
অনেক সময় অনেক দিনের কাশির জন্যে গলায় কফ জমে থাকে, গলা অনেক জ্বালাপোড়া করে , গলা ব্যাথা করে, সেই ক্ষেত্রে এক চা চামচ কাঁচা হলুদ গুঁড়া, 30 মিলিলিটার গরম দুধের সাথে খেতে পারলে গলা ব্যাথ দুর হয়ে যাবে।
কাশি দূর করতে : কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
খুব বেশি কাসি হলে এক কাপ হালকা গরম পানির সাথে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করলে কাশির উপসম হবে।
হজমের সমস্যা দূর করতে :
এক গ্লাস পানির সাথে পরিমাণ মত কাঁচা হলুদ গুঁড়া প্রতিদিন খেতে পারলে পেটের সমস্ত রোগ যেমন:গ্যাস অম্বল,হজমের সমস্যায় এই ধরনের সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
ক্ষত সারাতে কাচা হলুদের উপকারিতা:
কাচা হলুদের আরেকটা বিশেষ গুন হলো অ্যান্টি-বায়োটিক আর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা। শরীর এর বিভিন্ন জায়গার ক্ষত সারিয়ে তুলতে ও নতুন চামড়া জন্মানো জন্য কাচা হলুদ ভূমিকা পালন করে। আগুনে পোরা ক্ষত কমাতে কাচা হলুদের জুরি নেই।
ওজন কমাতে কাচা হলুদ: কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
হলুদে উপস্থিত থাকে কার্কিউমিন নামক একটি উপাদান। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কার্কিউমিন নামক উপাদানটি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের সৌন্দর্যে হলুদের উপকারিতা:
নিয়মিত হলুদ মেশানো দূধ খেলে ত্বকের ভিতরে থাকা টক্সিক এবং কোলাজেনের উপাদান বেড়ে যায়। যার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক প্রানচ্ছ্বল হয়ে উঠে ত্বকের বলি রেখা দুর করে। সেই সাথে ত্বকের ব্রণ,অ্যাকনে,এবং কালো ছোপ ও ধুর করে। শীতকালে ত্বকের সুন্দর্য ধরে রাখতে কাঁচা হলুদ বিশেষ উপকারী।
মাথা ব্যাথা কমাতে কাচা হলুদ:
মাথা যন্ত্রা হলে এক কাপ হলুদ মেশানো দুধ খেয়ে নিলেই মাথার ব্যাথা এক নিমিশে কমে যাবে। হলুদে থাকা কার্কিউমিন এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেন্টারি শরীরের অন্দের প্রোদাহ কমায়। তাছাড়া শীতের সময় হলুদ দুধ অনেক উপকারী মানুষের শরীরের জন্য।
রক্ত পরিস্কার করতে কাচা হলুদ: কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
রক্তকে বিষাক্ত উপাদান থেকে মুক্ত করে শরীরকে ডিট ডিটক্সিফাই করতে হলুদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। হলুদে উপস্থিত থাকা কার্কিউমিন রক্তে উপস্থিত টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে রক্তে ভেসেলের কোনো ক্ষতি হয় না।
Read More:
অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
বালিশ ছাড়াই ঘুমনো অভ্যাস করতে পারলে এই সুবিধা
কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
#Topic:কাচা হলুদের উপকারিতা ও কাচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
এই আর্টিকেল এ আমরা কাচা হলুদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপকারিতা আপনাদের সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। আপনার যে কোন শারীরিক সমস্যার জন্য ডাক্তার এর কাছে যাবেন।
আপনার সুন্দর জীবন কামনা করি।
ধন্যবাদ ❤