কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা

কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না। কাজু বাদাম সবার নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত।
কাজু বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন,ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,জিংক ,কপার, ম্যাগনেশিয়াম,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম,এবং আরো নানা বিধি খনিজ,কাজু বাদামে ভিটামিনের পরিমাণ এতো বেশি যে চিকিৎসক একে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেটও বলে ।
আজকে আমি কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বলবো
কাজু বাদামের উপকারিতা:
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানি পান করার পর কাজু বাদাম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
প্রতিদিন সকালে কাজু বাদাম খেলে দুর হয় কষ্টকাঠিন্য,কাজুতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা হজমের সাথে সাথে কষ্ট কাঠিন্য দুর করে।যারা শরীরের ওজন কমানোর দরকার হয় তারা কাজু বাদাম খেলে বিশেষ উপকার পাবে । প্রতিদিন সকালে কাজু বাদাম খেলে ক্ষুধা কম লাগে এবং চর্বি কমিয়ে ওজন ঠিক রাখে।
কাজু বাদামে রয়েছে কার্বহাইট্রেড যা আমাদের শরীরের শক্তির প্রধান উৎস।আমাদের শরীর কার্বহাইট্রেড কে ভেঙ্গে গ্লুকোজে রূপান্তর করে। তাই খালি পেতে কাজু খেলে আমাদের পরিপাক তন্ত্র গ্লুকোজকে দ্রুত কাজ করতে বাধ্য করে।
কাজু বাদাম কে মস্তিষ্কের পাওয়ার বুস্টার বলা হয়।কারণ বুদ্ধু মেধা সৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কাজু বাদাম গুরুতবপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কাজু বাদামের ম্যাগনেশিয়াম মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।তাই মনোযোগ বৃদ্ধি এবং মেধা বিকাশের জন্যে কাজু বাদাম খাওয়া উচিত।আবার বৃদ্ধদের সৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।হার্টকে সুস্থ রাখতে কাজুর বিকল্প নাই।
কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে
কাজুতে রয়েছে আ্যনস্যাচুরেটেড ওলিসিক নামে এক ধরনের এসিড যা দেহে কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে দারুন কাজে আসে । তাইতো নিয়মিত এই বাদামটি খেলে কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ফলে হার্টের ক্ষতি হয় হওয়ার আশঙ্খা কমে যায়।
বলা হয় , কান্সার যদি হয় সাপ তাহলে কাজু বাদামের থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো বেজি। তাইতো যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে সেখানে কান্সার সেলের খোঁজ পাওয়া কঠিন।তাই কান্সারের হাত থেকে বাঁচতে দৈনিক এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন আন্তর্জাতিক সকল পুষ্টিবিদরা।
কাজুতে থাকা জিংক ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।টিউমার প্রতিরোধে কাজু বাদামের ভূমিকা অপরিসীম।
কাজুতে ক্যালসিয়াম ম্যানেসিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে যা হারের বিকাশ ও বল বৃদ্ধিতে বিশেষ কাজে লাগে ।নিয়মিত কাজু খেলে ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।কাজু বাদামে রয়েছে কপার যা চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল উজ্জ্বল করে।
এছাড়া রক্ত স্বল্পতা দুর করতে চোখের যোতি বাড়াতে কাজু বিশেষ ভূমিকা রাখে ।
কাজু বাদাম প্রেসার নিয়ন্ত্রণ ।অনিমিয়ার মত রোগের প্রকোপ কমে এই কাজু বাদাম খেলে ।এছাড়া মখুর অভ্যন্তরের বিভিন্ন ঘা হওয়া থেকে কাজু বাদাম রক্ষা করে ।
শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৫/৬ টি করে কাজু বাদাম খাইতে হবে।
যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে চান অর্থাৎ ওজন যেমন আছে তেমনি রাখতে চান তাহলে রাতে ভিজিয়ে সকালে খাইতে হবে।আর যারা ওজন বাড়াতে চান তারা সকালে ভিজিয়ে বিকেলে খাইতে হবে।বিকেলে কাজু বাদাম খাইলে শরীর ভালো থাকে ।
More: আর্টিকেল লিখে মাসে ৭০,০০০ টাকা | Online Income BD by Writing Article
রোগ প্রতিরোধ করে- কাজু বাদামের উপকারিতা
কাজু বাদামে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট। আর এটা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করে। তাছাড়া ইমিউন-বুস্টিং যৈগ হিসেবে জিঙ্ক ভিটামিন পাওয়া যায়। এতে কোন কোলেস্টেরল নেই। এবং হার্টের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে কাজু বাদাম- কাজু বাদামের উপকারিতা
আজ কাল অনেকেই স্থুলতায় ভুগছে। এই সমস্যার সমাধানে কাজু বাদামের উপকারিতা শিকার করতেই হবে। ওজন কমানোর সাথে সাথে কোলেস্টেরল কমাতেও ভুমিকা রাখে।
কাজু বাদামের অপকারিতা:
সব জিনিসের যেমন ভালো দিক থাকে তেমনি খারাপ দিকও থাকে।
কাজু বাদামের যেমন nutrients থাকে তেমনি anti nutrients ও আছে।কাজু বাদাম যেমন ভালো ফ্যাট আছে তেমনি খারাপ ফ্যাট ও আছে। কাজু বাদামে যেমন ক্যালোরি থাকে তেমনি খুব বেশি খনিজও থাকে।ফলে কাজু কাজু বাদামে ভালোর সাথে খারাপ দিক ও আছে।
কাজু বাদাম খেলে অ্যালার্জি হয়। আপনার যদি গা হাত পা সব সময় চুলকাতে থাকে অ্যালার্জি চোখে মুখে চুলকানি বা কখনো কখনো চুলকানির কারণে আপনার গলার ভেতর ও ফুসফুসে ফুলে যায় আপনার শ্বাস নিতে কষ্ট হয় ,যদি এমন হয় তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে এটা কাজু বাদাম খাওয়া র জন্যেই হচ্ছে।
হয়তো কাজু বাদাম দিয়ে তৈরি এমন কোনো কারণে খাইছে যার জন্যে এমন হচ্ছে বা অ্যালার্জি হচ্ছে।
যদি এমন হয় তাহলে কাজু বাদাম যতই উপকারী হোক না কেনো আপনার
কাজু বাদাম খাওয়া বাদ দিতে হবে।অনেক সময় কাজু বাদামের অ্যালার্জি থেকে হঠাৎ করেই মৃত্যু হতে পারে।
কাজু বাদাম অতিরিক্ত খেলে ওজন একদম কমে যাবে। (কাজু বাদামের উপকারিতা)
ডায়বেটিস
ডায়বেটিস এর সমস্যাও বাড়তে পারে।আবার যাদের ব্লাড প্রেসার কম তাদেরও সমস্যা হতে পারে।
কোনো অপারেশন বা সার্জারি হলে ,সার্জারির দুই সপ্তাহ আগে পরে কাজু বাদাম খাওয়া উচিত না।
যাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা আছে তারা এটা থেকে বিরত থাকুন।এটা খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে।
থাইরয়েডের সমস্যার মধ্যে hyphyraidism এ কাজু বাদাম অপকারী কম খান বা বিরত থাকুন।
কাজু অনেক টেস্টি বলে আপনি যখন সল্টেট বা ভাজা কাজু বা কাচা কাজু খাচ্ছেন তখন অনেক রকমের ক্ষতি হতে পারে।
কাজু বাদাম রয়েছে প্রোটিন ,এটা যখন আপনি লবণ বা সোডিয়াম জাতীয় কিছু দিয়ে খাচ্ছেন তখন এটা কিডনির উপর প্রভাব ফেলে ।
নিয়মিত যদি এইভাবে কাজু খেতে থাকেন তাহলে তা আপনার কিডনির জন্যে হুমকি বা কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হতে পারে।
তাই এই ভাবে কাজু বাদাম কখনো খাবেন না। (কাজু বাদামের উপকারিতা)
অনেকের অনেক ধরনের সমস্যা আছে যেমন করো হার্টের সমস্যা বা বিভিন্ন রোগের জন্যে বিভিন্ন রোগের ওষুধ খেয়ে থাকেন।
কিন্তু এই কাজু বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেমন ম্যাগনেসিয়াম ,
এটা আপনার যেকোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সাথে মিলে আপনার শরীরের ভয়ংকর রোগ সৃষ্টি করতে পারে ।
কাজুতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ফাইবার তাই কাজু বাদাম অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে পেতে সব সময় সমস্যা লেগেই থাকে ।
প্রোটিন
যারা মাছ মাংসের পাশাপাশি কাজু বাদাম খাচ্ছেন তাদের শরীরের বিভিন্ন প্রকার সমস্যা হতে পারে।
কারণ কাজু তে রয়েছে প্রচুর প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন আর মাছ মাংস বা প্রোটিন যুক্ত খাবার একসাথে খাইলে অতিরিক্ত প্রোটিনের জন্যে শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে ।
আবার কাচা কাজু বাদামের রয়েছে এক ধরনের বিস কাজেই আপনি যখন কাচা কাজু বাদাম খেয়ে থাকেন তাহলে মস্ত বড় ভুল করবেন ,
এটি আপনার শরীরের তাৎক্ষনাত এমন বিষ ক্রিয়া সৃষ্টি করে যাতে আপনার বমি হতে পারে বা শরীরের কোনো সমস্যা হবে
যা থেকে আপনার হার্ট অ্যাটাকে ও হতে পারে ।
তাই কাজু বাদামের যেমন ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিক ও আছে ।
সঠিক মাপে কাজু বাদাম খেলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না আপনার অনেক উপকার হবে।
হড় মজবুত এ কাজু বাদাম-কাজু বাদামের উপকারিতা
কাজু বাদাম এ প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, খনিজ, প্রোটিন ফাইভার থাকে।
আর আমরা তো জানি যে এই সব উপাদান হড় কে আরো মজবুত করে।
(কাজু বাদামের উপকারিতা)
কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম কি?
সত্যি কথা বলতে কি, কাজু বাদাম এর উপকারিতা অনেক আছে।
যেহেতু উপকার আছে তাই কিছু অপকার থাকবেই। আর অপকার গুলো হলো—
দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের এক সাথে 10-15 পিস অন্য কোন খাবারের সাথে খাওয়াতে হবে।
যাতে গলাতে বেধে না যায়। প্রতিদিন এক বার খাওয়াতে পারেন।
দুই বছরের বেশি বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রতিবার 50 গ্রাম করে বা 30 পিস খেতে পারে।
সপ্তাহে 3 বার খেলে ভালো হয়।
কাজু বাদাম কেন ভিজিয়ে খেতে হয়?
কাজু বাদাম এর বাইরের আবরনে সাইট্রিক এসিড থাকে। এটা এসিডিটির সমস্যা করে।
আবার মিনারেল শোষণে সমস্যা করে। আবার এতে থাকা ট্যানিন মানুষের হজম এ ব্যাঘাত করে। তাই কাজু বাদাম ভিজিয়ে খেতে হবে।
কি করে কাজু বাদাম ভেজাতে হবে
- একটি পাত্রে পানি দিবেন
- দুই চামচ লবন দিতে হবে
- এর মধ্যে কাজু বাদাম ভিজিয়ে রাখবেন।
- ছয় ঘন্টা ভিজিয়ে রাখবেন
- পানি ফেলে দিয়ে এবার কাজু খেতে পারেন
অবশ্যই ফুটানোপানি বা পরিস্কার ব্যাবহার করবেন।
পরিশেষে–
কাজু বাদাম এর অপকারাতা কিছু আছে তবে উপকারিতাই বেশী। কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
কাজু বাদামের উপকারিতা
3 Comments